শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
সিলেট সংবাদদাতা: চৈত্র মাসের আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ‘বালির বাঁধ’ ভেঙে ফসলহানিতে হাহাকার বিরাজ করছে সুনামগঞ্জের কৃষকের মাঝে। ফসলহানি, প্লাবন, ঝড়বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ওই সকল এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্যের সংকটসহ নানাবিধ অসুবিধা। চলমান অকাল বন্যায় এরই মধ্যে ডুবে গেছে হাওড়ের ফসল। চারদিকের অথৈ পানি ঢুকে পড়ছে বসতবাড়ির ভেতরে। একই সঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে গবাদিপশুর চারণক্ষেত্রগুলোও। তার ওপর শিশুদের নানাবিধ রোগও দেখা দিচ্ছে। খাদ্য সংকট চরম আকার ধারন করেছে। ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে পরিবারের ভরণপোষণ-দুয়ে মিলে চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা। টানা দুই বছর ফসলহানির কারণে কৃষিনির্ভর এই দুই শ্রেণির মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। ধান তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দৈনন্দিন নানা প্রয়োজন মেটাতে এবং ঋণ শোধ করতে হাওরাঞ্চলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। এরই প্রেক্ষিতে অসহায় কৃষকদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ব্যক্তিগত সাহায্যকারী সংস্থা হাজী মোঃ নূরুল হক স্মৃতি পরিষদ। সংস্থাটির সভাপতি জনাব কামরুল রাজ্জাকী জানান ৯নং পাইলগাও ইউনিয়নের পূর্ব কাতিয়া বড়বাড়ি নিবাসী জনাব হাজী মোঃ নূরুল হক সাহেব সাবেক মেম্বার ছিলেন। এলাকার সবাই ওনাকে এখনো মেম্বার বলেই চিনেন। মেম্বার থাকাকালীন এবং এর পরবর্তিতেও তিনি ছিলেন এলাকার মানুষের নয়নমণি। এলাকার মানুষের জন্য ছিল তার অন্তপ্রাণ। উনি গত বছরের ২০শে জুন ইহকাল ত্যাগ করেন। উনার ইন্তেকালের পর তিন ভাই মিলে আমাদের বাবার নামে একটা সাহায্যকারী সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করি। ইতিমধ্যে সংস্থা থেকে কাতিয়া মাদ্রাসাসহ অন্যান্য মাদ্রাসার এতিমখানায় খাদ্যদ্রব্য প্রধাণ করা হয়েছে। এবারই আমরা প্রথম বন্যার্ত কৃষক ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে সংস্থাটির সেক্রেটারি জনাব শহিদুল রাজ্জাকী জানান, আমরা আমাদের সংস্থাটি আমাদের বাবা জনাব হাজী মোঃ নূরুল হক সাহেবের কাজের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রেরিত হয়েই গঠণ করেছি। এবার আমরা ২০০/২৫০টি অসহায় পরিবারের সাহায্যের জন্য দেশি, প্রবাসী ও ব্যাবসায়ী ভাইদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছি। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আমাদের এলাকাকে ব্যক্তিগত উদ্যেগে দারিদ্র মুক্ত করা। আমরা আগামীতে এলাকার যে কোন দারিদ্র পরিবারের সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতায় নিরলস কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। উলেখ্য চৈত্র মাসের আকস্মিক বন্যায় সুনামগঞ্জের হাওর আঞ্চলে তলিয়ে যাওয়া কৃষকদের অপূরনিয় ক্ষতির সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ব্যক্তিগত সাহায্যকারী সংস্থা হাজী মোঃ নূরুল হক স্মৃতি পরিষদ। এই সংস্থাটি জানিয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ে তারা কাতিয়ায় আনুমানিক ২০০/২৫০টি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। পরবর্তিতে তারা অন্যান্য গ্রামে আরো অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আপনারাও চাইলে এই মহৎ উদ্যেগে অংশীদার হতে পারেন, বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন শহিদুল রাজ্জাকী সেক্রেটারি-হাজী মোঃ নূরুল হক স্মৃতি পরিষদ, মোবাইল- ০১৬৩৩৯৪৫৯৩৩।